September 8, 2024, 2:26 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
মধুপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সভা অনুষ্ঠিত পীরগঞ্জে সাংবাদিক কাজী নুরুলের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল র‌্যাব-১২’র অভিযানে ১৮৫০ পিস বুপ্রেনরফিন ইনজেকশনসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার নেছারাবাদে দুইশত সাতচল্লিশ কেজি হরিনের মাংস উদ্ধার গ্রেফতার-২ জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন ইস্যুতে রাজশাহীতে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা দ্বীনের কাজে অর্থ ও সময় দিতে হবে গোদাগাড়ীতে নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আরএমপি’র নতুন পুলিশ কমিশনার আবু সুফিয়ানের যোগদান মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে বিএনপির সংবাদ সন্মেলন খাগড়াছড়িতে বিএনপির সম্প্রীতির সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত কাল‌কি‌নি‌তে অ‌বৈধ‌ ড্রেজা‌রের বিরু‌দ্ধে অ‌ভিযান
নড়াইলের নবগঙ্গা নদীর ওপর কাঠের সেতুটি ভেঙে পড়ে আছে প্রায় দেড় বছর

নড়াইলের নবগঙ্গা নদীর ওপর কাঠের সেতুটি ভেঙে পড়ে আছে প্রায় দেড় বছর

উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:

নড়াইলের নবগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি অবহেলার চরম সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
দেড় বছর ভেঙে আছে কাঠের সেতু, নেই সংস্কারের উদ্যোগ। নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার কাঠের সেতুটি ভেঙে পড়ে আছে প্রায় দেড় বছর ধরে। নতুন করে নির্মাণ বা সংস্কারে নেই কোনো উদ্যোগ। অবহেলার চরম এক সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে নবগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুটি। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, নির্মাণের এক যুগেও সেতুটির জন্য নির্মাণ হয়নি সংযোগ সড়ক। তাই এতদিন হেঁটেই সেই পথ পার করে আসছিল পৌর বাসিন্দারা। সর্বশেষ ভেঙে পড়ার পর জন প্রতিনিধিদের খামখেয়ালিপনায় পৌরবাসীর এক যুগের আক্ষেপ হয়েছে দ্বিগুণ। পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে গন্তব্যস্থলে যেতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও অফিসগামীদের। হাট-বাজারের যাতায়াতকারীদের অর্থনৈতিক ক্ষতি ছাড়াও তাদের ব্যয় হচ্ছে অতিরিক্ত সময়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া পৌরসভার পশ্চিম এলাকার একাংশ ও উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নকে সংযুক্ত করার জন্য ২০০৬ সালে নবগঙ্গা নদীতে কাঠের এ সেতু নির্মাণ করে লোহাগড়া পৌরসভা। নদীর উত্তরে চোরখালী, জয়পুর আর ছাতড়া গ্রাম নিয়ে গঠিত ১ নম্বর ওয়ার্ড। নদীর দক্ষিণে কচুবাড়ীয়া, রামপুর, শিংগা আর মশাঘুনি নিয়ে গঠিত পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড। পৌরসভার পশ্চিম এলাকার জনগণের যাতায়াত নিরবচ্ছিন্ন করার জন্য চোরখালি আর দক্ষিণের কচুবাড়ীয়া গ্রামের সোজাসুজি একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে লোহাগড়া পৌর কর্তৃপক্ষ। তাতে করে পৌরবাসীর স্বল্প দূরত্বে পৌরকার্যালয়, উপজেলা সদর ও জেলা শহরে যাতায়াত নিশ্চিত হয়।
ইতোমধ্যে ক্ষমতার পালাবদল হলেও সেতুটি নির্মাণের এক যুগ পরেও নির্মাণ করা হয়নি সংযোগ সড়ক। হেঁটেই নদীর এপার-ওপার যাতায়াত করে আসছিল সাধারণ মানুষ। কিন্তু গত বছরের জুনের শেষ দিকে বালুব্যবসায়ীরা ড্রেজার দিয়ে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আনার ব্যবস্থা করতে গিয়ে অতিপ্রয়োজনীয় সেতুটি মাঝ বরাবর ভেঙে ফেলে রাতের অন্ধকারে। তারপর থেকেই চরম দুর্ভোগে পড়ে সেতু ব্যবহারকারীরা।
কচুবাড়িয়া গ্রামের শ্যাম সুন্দর পাল বলেন, ব্রিজটা ভেঙে যাওয়ায় পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে শহরের যেতে হয়। এতে আর্থিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি তেমনি সময়ও নষ্ট হচ্ছে। সেতুটি দ্রুত মোরামত করে দিলে সময় বাঁচবে এবং আর্থিক ক্ষতি থেকেও রক্ষা পাব।
ধোপাদাহ গ্রামের জাহিদুল হক বলেন, আমাদের ছেলেমেয়ে ওপারে মাদরাসায় পড়ে। তারা এখন ঠিকমতো যেতে পারছে না। এ ছাড়া নড়াইল সদর হাসপাতালে ও কোর্টে ঠিকমতো যেতে পারছি না। এক মিনিটের পথ এখন ঘুরে যেতে সময় লাগছেএক ঘণ্টা। তারপর আবার সময়মতো এখান থেকে গাড়ি পাওয়া যায় না। ব্রিজটা আমাদের খুবই জরুরি।
এক যুগেও নির্মাণ হয়নি সংযোগ সড়ক এক মিনিটের পথ এখন লাগছে এক ঘণ্টা পৌরবাসীর আক্ষেপ, তাদের এই দুর্ভোগ দেখার কেউ নেই। ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি দেখতেও আসেনি পৌর কর্তৃপক্ষ, এমন ভাষা তাদের।
এলাকাবাসীর দাবি, জেলার ‘সি’ শ্রেণির এই পৌরসভার চার ভাগের একভাগ মানুষের সহজ যাতায়াতের জন্য সেতুটি যেন মেরামত করে ব্যবহার উপযোগী করা হয় এবং তার মাধ্যমে শিশুদের স্কুলে যাতায়াত ও সাধারণের অফিস-আদালত, হাটবাজারসহ মূল সড়কে সংক্ষিপ্ত যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দিয়ে মূল সড়কে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়।
লোহাগড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বনাথ দাস ভুন্ডুল বলেন, নবগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত কাঠের সেতুটি প্রায় দেড় বছর আগে ড্রেজারের ধাক্কায় ভেঙে গেছে। জনগণের পারাপারে সমস্যা হচ্ছে। আমি ও পৌর মেয়র সেতুটি পরির্দশন করেছি।
এই বিষয়ে লোহাগড়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মসিয়ুর রহমান বলেন, সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা তিনি অবগত আছেন। তবে ক্ষতিপূরণ বা ড্রেজার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো কথা বলতে পারেননি তিনি।
তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে সেতু মেরামতের কথা ভাবছি না। সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে স্থায়ী কংক্রিটের ব্রিজের নির্মাণের কথা ভাবছি। এসময় সাধারণ মানুষকে নৌকার ব্যবস্থা করতে পরামর্শ দেন তিনি।

উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD